ভোলা জেলায় জেলা প্রশাসন এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেইজ) প্রকল্পের অবহিতকরণ সেমিনার
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আজাদ জাহান মহোদয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নের সম্ভাব্য অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ভোলা এর উপপরিচালক জনাব রজত শুভ্র সরকার।
সহকারী পরিচালক জনাব কাজী গোলাম কবির এর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা করেন, সিভিল সার্জন, ভোলা ডাঃ মুঃ মনিরুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা জনাব মিরাজ আহমেদ। প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জানানো হয় যে, প্রকল্পের ২য় ফেইজে তজুমুদ্দিন এবং চরফ্যাশন উপজেলাকে প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়েছে।
উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এ সি ডি অর্জুন, দলিত সম্প্রদায়ের চেয়ারম্যান জনাব স্বপন কুমার দে, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি প্রমুখ। তাঁরা সমগ্র ভোলা জেলাতে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চালু রাখা ও হালনাগাদ জরিপ করার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অংশগ্রহণকারী পেশাজীবি কামার, কুমার, নাপিত, জুতা মেরামতকারী, বাঁশ-বেত ও কাঁশা-পিতল পণ্য প্রস্তুতকারীগণকে পেশার টেকসই উন্নয়নে ৩ দিনের সফটস্কিল প্রশিক্ষণ এবং ওস্তাদ-সাগরেদ পদ্ধতিতে ১৮-৩০ বছর বয়সী কর্মক্ষমদের স্ব পেশায় তালিকাভূক্ত ওস্তাদের নিকট শিক্ষানবিস প্রশিক্ষণের সুযোগ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, ‘ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই শেষে প্রান্তিক পেশাজীবিদের নিজ নিজ উপজেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে পুঁজি হিসেবে এককালীন ১৮ হাজার টাকা সরকারি আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবি, এনজিও প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।